দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় লকডাউনের মধ্যে এক মোটরসাইকেলচালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার অভিযোগে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-সহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তারা হলেন, বগুড়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসএআই) নুর মোহাম্মদ, গাবতলী মডেল থানার ওসি সাবের রেজা আহম্মেদ ও বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মোহাম্মদ মুসা।
এর আগে ২৮ এপ্রিল এএসআই নুর মোহাম্মদকে বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করা অপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আদেশে তাদের ষষ্ঠ খাগড়াছড়ি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২১ এপ্রিল বগুড়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়। এ অবস্থায় গত ২৬ এপ্রিল শাজাহানপুর উপজেলার বাসিন্দা হাশেম আলী মোটরসাইকেল যোগে গাবতলী থানার বাগবাড়ী এলাকায় যান। সেখানে এএসআই নুর মোহাম্মদ মোটরসাইকেলসহ হাশেম আলীকে আটক করেন। পরে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাশেম আলী অভিযোগ করলে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াছমিন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, এএসআই নুর মোহাম্মদকে মোটরসাইকেল আটকিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ২৮ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন